মার্ভেল স্টুডিও সাধারণত এ ধরনের পোস্টার, প্রোমোশনাল আর্ট ও প্রচারণার কাজে ব্যবহার করে থাকে। নতু
এসব ছবিতে রয়েছে ওলসেনের কিছু অসাধারণ ভঙ্গি এবং তার আইকনিক কস্টিউমের সূক্ষ্ম বিবরণ- যা ভক্তদের উচ্ছ্বসিত করেছে।
এলিজাবেথ ওলসেনের চরিত্র ‘ওয়ান্ডা ম্যাক্সিমফ’ প্রথম দেখা গিয়েছিল ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইন্টার সোলজার’-এর পোস্ট-ক্রেডিট দৃশ্যে। সেখানে প্রকাশ পেয়েছিল, হাইড্রা লোকির সেপটার ব্যবহার করে ওয়ান্ডা ও তার ভাই কুইকসিলভারের শক্তি জাগিয়ে তুলেছিল।
পরে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অফ আল্ট্রন’-এ তারা প্রথমে আলট্রনের সহযোগী হলেও, পরে অ্যাভেঞ্জারদের দলে যোগ দেয়। যুদ্ধে কুইকসিলভার মারা গেলে, ওয়ান্ডা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় এবং ভিশনের প্রেমে পড়ে।
কিন্তু ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’-এ থ্যানস ভিশনকে হত্যা করলে ওয়ান্ডা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এরপর ‘ওয়ান্ডাভিশন’ সিরিজে দেখা যায়, সে তার কল্পনার জগতে ‘হেক্স’ তৈরি করে ভিশন ও দুই সন্তানের সঙ্গে বসবাস করছে। অবশেষে বাস্তবতা মেনে নিয়ে ওয়ান্ডা তার প্রকৃত শক্তি উন্মোচন করে এবং ডার্কহোল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’-এ ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
মার্ভেল সূত্রে জানা গেছে, ওলসেনকে আবারও দেখা যেতে পারে আসন্ন ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ চলচ্চিত্রে।
এক সাক্ষাৎকারে এলিজাবেথ ওলসেন জানান, এমসিইউতে কাজ করা তার জন্য এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, এটা একদমই মজার এবং কিছুটা হাস্যকরও। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, কিন্তু বাচ্চাদের মতো খেলছি – উড়ছি, হাত থেকে জাদু ছুঁড়ছি। এই চরিত্রটিকে দশ বছর ধরে বারবার ফিরে পাওয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। যখন দূরে থাকি, আমি ওয়ান্ডাকে মিস করি।
ওলসেন আরও যোগ করেন, এটা এক ধরনের কমিউনিটি এবং স্থায়ী কাজের অভিজ্ঞতা, যা খুব কমই পাওয়া যায়। বিশাল সেট, শত শত মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে, স্টান্ট, ক্যামেরা মুভমেন্ট, ভিজ্যুয়াল ও স্পেশাল ইফেক্ট- সব কিছু মিলে এটা এক শক্তিশালী অভিজ্ঞতা। যারা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করেন, তারাও শিল্পী।


