বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে লক্ষণপুর ইউনিয়ন লক্ষণপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শূন্যের উপরে হেলিকপ্টারটি রেখে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য তুলে দেওয়া হয়।
নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা সদস্য জানান, লক্ষণপুর ইউনিয়নে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে লে. কর্নেল খবির হোসেনসহ দুই সেনা সদস্য এবং নৌকার মাঝি বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে মনোহরগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সৈকতের নেতৃত্বে তাদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সিএমএইচে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এ এলাকার পানিবন্দি মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র গোখাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে পানি ঢুকে যাওয়ায় নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ এলাকার বাসিন্দাদের চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। তীর্থের কাকের মতো ত্রাণের দিকে তাকিয়ে আছে এ এলাকার পানিবন্দি হাজার হাজার পরিবার। এদিকে সব নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান ও মো. হারুনূর রশিদ হিরণ জানান, গতকাল লক্ষণপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পর্শে নৌকার মাঝিসহ দুই সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নাথেরপেটুয়া সাবজোনাল অফিসার (এজিএম) মো. ইলিয়াছ পাঠোয়ারী জানান, আমি শুনেছি স্পটে গিয়েছি এমন কোনো আলামত পাইনি সেখানে।