আজ বুধবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নদী, পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইবনুল সাঈদ রানা, এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার বাংলা-এর সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি জনাব হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন নদী ও পরিবেশ রক্ষা এখন আমাদের টিকে থাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
দুঃখজনকভাবে নদী আজ রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। রাজনীতির কথা বললেই নদীর প্রসঙ্গ আসে, আবার নদীর কথা বললেই রাজনীতির প্রসঙ্গ জড়িয়ে যায়। নদী পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রকৃত রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন, আর সে অঙ্গীকার আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সারাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ড. হালিম দাদ খান, জাকিয়া শিশির, আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব গোলাম শফিক, শফিকুল ইসলাম খোকন, রফিকুল আলম, কে. এম. এ. জামিল, ফরিদুল ইসলাম, লামিয়া ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন, নাহিদ মিয়া, নাছির উদ্দিন শেখ, সামিউল ইসলাম রাসু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী ও পরিবেশ বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই নদী রক্ষা ও টেকসই পরিবেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। যারা নদী দখল বা পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত, তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সভা শেষে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা গৃহীত হয়
১. প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক দপ্তর স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২.কোনো জনপ্রতিনিধি নদী দখল বা পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩.আন্তঃসীমান্ত নদীর সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
৪.‘চায়না দুয়ারী’সহ সব ধরনের অবৈধ বিদেশি জাল নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫. পরিবেশ, বন, মৎস্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি জোরদার করতে হবে।


