গত বুধবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় ৩৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল রাতে মারা যায় তায়েবা নামের পাঁচ বছরের একটি শিশু। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সদর এলাকার সজল মিয়ার মেয়ে। আগুনে তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
আজ সকালে দগ্ধ দুজন শ্রমিক মারা গেছেন। মৃত মইদুল ইসলামের (২৫) বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খাঁ। তিনি কালিয়াকৈরে একটি গুদামে কাজ করতেন। আর আরিফুল ইসলামের (৪৫) বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আগুনে মইদুলের শরীরের ৯৫ ভাগ এবং আরিফুলের ৭০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ। তিনি বলেন, মৃত শিশুটির পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে লাশ নেওয়া ও দাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত দুই শ্রমিকের পরিবারকেও একইভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল সকালে আগুনে দগ্ধ হয়ে মনসুর আলী (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। আগুনে তাঁর শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন। মনসুর আলীর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সালদাহ উত্তরপাড়া গ্রামে। শুক্রবার সকালে সোলায়মান মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মারা গেছেন। আগুনে তাঁর শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। সোলাইমানের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কালিয়াকৈরেই থাকতেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল একটি সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় গ্যাস বেরিয়ে পাশের চুলার আগুনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের শরীরে আগুন লেগে ৩৬ জন দগ্ধ হন।