সকাল ১০টা পর্যন্ত ৮০০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা নৌপুলিশের অফিসার ইনচার্জ এসআই সৈয়দ ফকরুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরের পর মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় চাল বোঝাই এমভি সাফিয়া নামক বাল্কহেডটি এমভি শাহজাদা-৬ নামের অপর একটি লাইটারের ধাক্কায় ডুবে যায়।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হয়নি বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশ। এদিকে ধাক্কা দেওয়ার অপরাধে এমভি শাহজাদা-৬ কার্গো জাহাজটি এখনও নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নৌপুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ ফকরুল ইসলাম আরও জানান, ঈদ উপলক্ষে গরিব অসহায়দের জন্য ৩১ মার্চ সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৬ হাজার বস্তায় ১৭৫ টন চাল নিয়ে মোংলার খাদ্য গুদামের উদ্দেশে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেড ছেড়ে আসে। এরপর বাল্কহেডটি দুপুরের পর মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা এমভি শাহাজাদা-৬ নামের অপর একটি লাইটার ধাক্কা দিলে সরকারি চাল নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড এমভি সাফিয়া। তবে এ সময় বাল্কহেডে থাকা ৫ স্টাফ-কর্মচারী সাঁতরে কূলে উঠে প্রাণে বেঁচে যান।
এ ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ নামের লাইটারকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ ক্যানেল থেকে রোববার সন্ধ্যার পরে নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বাল্কহেড মালিক বা অন্য কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।