আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে গল্লামারী কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে,খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক রাত সাড়ে আটটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সুমন নামের আমাদের একজন কনস্টেবল মারা গেছেন। আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন গুরুতর আহত। সুমন পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।’
পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘সারা দিন তো আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিলাম। আমরা ফাঁকা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়া কিছু মারিনি। কিন্তু তারা তো মানল না। ২০-২৫ দিন ধরে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি। অথচ তারা আমাদের লোককে পিটিয়ে মেরে ফেলল।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে আজ বেলা আড়াইটার দিকে মিছিল নিয়ে শিববাড়ী থেকে সোনাডাঙ্গা থানা মোড় হয়ে গল্লামারী আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান করে। আরেকটি দল জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দেখা যায়।
বিকেল চারটার দিকে জিরো পয়েন্টের দিক থেকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা সরেননি। এ সময় পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে এগোতে বাধা দেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে পুলিশ পিছু হটে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে গল্লামারী সেতুর ওপর অবস্থায় নেন। পুলিশ গল্লামারী মোড় থেকে দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা চালায়। এতে ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে গল্লামারী কাঁচাবাজারে আন্দোলনকারীরা পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে বেধড়ক পেটান। এ সময় বাজারের একটি দোকানে পুলিশের চার সদস্য আটকা পড়েন। কিছুক্ষণ পর দোকানের শাটার খুলে তাঁরা বাইরের পরিস্থিতি দেখতে বের হলে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। এই সময় পুলিশের ওই সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওই সদস্যদের বেধড়ক পেটান। এ সময় পুলিশের এক সদস্য নিহত হন।