তুরস্কের মধ্যস্থতায় এ বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছে। কয়েক মাসের গোপন আলোচনার পর একটি জটিল বহুজাতিক চুক্তির মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। শুক্রবার এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
মুক্তির পর বন্দিদের তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়। এ চুক্তির সঙ্গে যুক্ত আছে সাতটি দেশ। চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১৬ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১০ জন।
রুশ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিক, একজন মার্কিন গ্রিন কার্ডধারী, পাঁচজন জার্মান ও সাতজন রুশ রাজবন্দি রয়েছেন।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার যে ১০ বন্দি ছাড়া পেয়েছেন, তারা- যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, স্লোভানিয়া, পোল্যান্ড ও জার্মানির কারাগারে বন্দি ছিলেন।
রাশিয়ার কারাগার থেকে সাংবাদিক গার্শকোভিচের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মার্কিন নৌসেনা পল হুইলেন, মার্কিন-রুশ দ্বৈত নাগরিক অলসু কুরমাশেভা ও মার্কিন গ্রিন কার্ডধারী কারা-মুর্জা। এ চারজনের মুক্তির বিষয়টি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বন্দি বিনিময়ের এ চুক্তিকে তিনি কূটনৈতিক সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া রুশ নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম ভেলাদিম ক্রাসিকভ। রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি-সংশ্লিষ্ট এ ব্যক্তি জার্মানির কারাগারে ছিলেন।
অন্যদিকে এ চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কারাগার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকার সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ মুক্তি পাওয়ায় তার সহকর্মীরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। গার্শকোভিচকে গত বছর গ্রেফতার করেছিল রাশিয়া। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।