সকাল থেকেই সদর হাসপাতাল, নলছিটি, রাজাপুর এবং কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা ছিল প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক।বহির্বিভাগের রোগীরা সকাল ৯টা থেকেই হাসপাতালে এসে ভিড় জমিয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
জরুরি বিভাগের চিত্রও ছিল একই রকম। অন্তর্বিভাগের চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেছেন।ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন আকরাম আলী বলেন, শুনেছিলাম সারাদেশে হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মা অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।এসে দেখি এখানে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়াও নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী, স্বজন ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সেবা চালু রয়েছে।ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শামীম আহমেদ বলেন, রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলে আমরা কোনো আন্দোলনে যাব না। প্রতিবাদ যদি করতে হয়, তবে চিকিৎসা সেবা চালু রেখেই তা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই প্রতিদিনের মতো চার উপজেলায় চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (নিউরো সার্জারি গ্রিন ইউনিট) আব্দুল আহাদ রবিবার এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে চলে যান