সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়েছে সরকার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর দশদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বাজারে দেখা মিলছে না নতুন দামের সয়াবিন তেল।
মার্চের শুরু থেকেই সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কথা থাকলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। ফলে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হলেও সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কম দামের তেল এখনো বাজারে সরবরাহ করেনি কোম্পানিগুলো। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাসাবো বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো আগের দামের তেলগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৬৩ টাকায় বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও সেখানেও নেই দাম কমার প্রভাব।
রামপুরা রাবেয়া স্টোরের মাসুদ মিয়া বলেন, শুনেছি কোম্পানি তেলের দাম কমাবে, কিন্তু এখনো আমরা হাতে পাইনি। কোম্পানির প্রতিনিধি বলেছেন, দুই তিনদিন সময় লাগবে নতুন দামে তেল বাজারে আসতে। বাজারে ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ে কোম্পানিগুলো সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে দেয়। দোকানদাররা সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করে ফেলেন। কিন্তু দাম কমানোর সময় এমনভাব করে যেন তারা বিষয়টি যানেই না। বাজারে এখনো কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭০-১৭৫ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।
জালাল নামের আরেকজন বিক্রেতা বলেন, নতুন তেল পাইনি। তবে আমি লিটারে ৫ টাকা দাম কমিয়ে বিক্রি করছি। নতুন তেল এলে আরও ৫ টাকা কমিয়ে বিক্রি করা যাবে। এর আগে শুল্ক ছাড় দেয়ার পর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেন মিল মালিকরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে টাস্কফোর্স ও জাতীয় কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এনবিআর ভোজ্যতেলের শুল্ক বাবদ ৫ টাকা কমালেও রোজা সামনে রেখে মিল মালিক বা পরিশোধনকারীরা লিটারে ১০ টাকা করে কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ১ মার্চ থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।