সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রোববার আকুর আওতাভুক্ত ৯টি দেশের দুই মাসের আমদানি বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। রিজার্ভ থেকে এ অর্থ সমন্বয়ের পর দেশের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম)-৬ হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। তবে দেশের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেধে দেওয়া রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। ফলে রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
প্রসঙ্গত, আকু একটি অন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদরদপ্তর অবস্থিত। আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে নিজেদের ভঙ্গুর অবস্থানের কারণে এখন আকুর সদস্যপদ নেই শ্রীলঙ্কার।