সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
27 C
Dhaka
Homeশিক্ষাদীর্ঘ সাত বছর পর গকসু নির্বাচন: ভোটের আগেই অনাস্থা

দীর্ঘ সাত বছর পর গকসু নির্বাচন: ভোটের আগেই অনাস্থা

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ ৮:২৭

দীর্ঘ সাত বছর পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। ভোট হবে ১৯টি কেন্দ্রে, শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এক নতুন সূচনার জন্য। কিন্তু ভোটের ঠিক আগে প্রার্থী-ভোটারদের মুখে শোনা যাচ্ছে অভিযোগ আর অনাস্থার সুর।

নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

নির্বাচনের আচরণবিধি ও আইনে আছে ফাঁক ফোকড়, এমন অভিযোগ এনে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী রাকিব সংবাদ সম্মেলন করে জানান, নির্বাচনে স্ট্যাডি গ্যাপ সহ কেউই প্রার্থী হতে পারবে না। কিন্তু কোনো এক ক্ষমতাবলে আরেক ভিপি পদপ্রার্থী শেখ খোদার নূর ইসলাম প্রাথমিকভাবে অযোগ্য হয়েও পরে যোগ্য প্রার্থীর তালিকায় নাম উঠিয়েছেন। ফলে দায়িত্বশীলদের প্রতি প্রশ্ন থেকেই যায়।

এমন অনিয়মের অভিযোগ কেবল এক প্রার্থীর নয়। অনেকে বলছেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করেও দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশন সবকিছু লিখিত অভিযোগের ওপর নির্ভর করছে।

নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ১৯টি কেন্দ্রে ভোট হলেও কোনো এজেন্ট নিয়োগের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি প্রশাসন। প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও এনিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। এই অবস্থাকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, দায়িত্বশীলরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে ভোট প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী হামিম মন্ডল বলেন, অনেক বছর পর গকসু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা রাখার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে (১৯টি) পোলিং এজেন্ট থাকা জরুরি। সে ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের থেকে কোনোরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টা শংকার।

অছাত্র ও বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিহাব আহসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে জোরালোভাবে জানানোর পরেও এখনো বিভিন্ন অছাত্র-সাবেক ছাত্রদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে, যা প্রশ্নাতীত নয়। নির্বাচন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে নির্বাচন ঘিরে শংকা বাড়তে পারে।

বিভিন্ন সময়ে আচরণবিধি ভঙ্গের নজির থাকলেও নির্বাচন কমিশনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই অভিযোগ অন্য এক ভিপি পদপ্রার্থী নাসিমের। তিনি জানান, আচরণবিধিতে ১০ হাজারের বাধা নিয়ম থাকলেও সে নিয়ম মানেনি একাধিক প্রার্থীরা। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী বিধিলঙ্ঘন হওয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি হলেও কোনোরূপ প্রকাশ্য ব্যবস্থা দেখিনি তাদের থেকে।

এদিকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, আমরা সর্বাত্মক ভাবে সচেষ্ট একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়ম অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দিবেন। অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু লিখিত অভিযোগ আসছেনা। যেসব বিষয়ে লিখিত জানানো হয়েছে সেগুলা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর