বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লেহ-তে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির সমর্থনে অনশন ও কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দিয়েছিল।
আন্দোলনের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। সংঘর্ষ চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা বিজেপির একটি অফিস ও পুলিশের একটি গাড়িতেও হামলা চালায়।
লাদাখের জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক গত দুই সপ্তাহ ধরে এই দাবিতে অনশন করছেন। লাদাখের জনগণ তাদের জমি, সংস্কৃতি ও সম্পদ রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মর্যাদা এবং সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবি জানিয়ে আসছে।
২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে বিভক্ত করে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এক বছর না যেতেই বাসিন্দাদের মধ্যে রাজনৈতিক শূন্যতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে।
এই অসন্তোষের জেরে প্রথমবারের মতো বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লেহ ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কার্গিলের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো রাজ্যের সর্বোচ্চ সংস্থা কার্গিল গণতান্ত্রিক জোট নামে একটি যৌথ প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়েছিল।
কেন্দ্র লাদাখের জনগণের দাবি পরীক্ষার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করলে, ধারাবাহিক আলোচনায় কোনো সাফল্য আসেনি। গত মার্চ মাসে লাদাখি প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকও ভেঙে যায়, কারণ স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের মূল দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক নেতা জানান, বৈঠক চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন— ‘লাদাখকে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে বিভক্ত করে তিনি ভুল করেছেন। তিনি রাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলের জন্য আমাদের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
তবে এই সহিংসতার মধ্যেই কেন্দ্র আগামী ৬ অক্টোবর লাদাখের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনার জন্য বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।