জাল সনদে চাকরি করা এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ভুয়া নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎ, ভ্যাট ও
আইটিসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অনিয়মের কারণে তাদের কাছ থেকে মোট ২৫৩ কোটি টাকা ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও সুপারিশ করা হবে।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে জাল সনদধারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে।
ডিআইএর নথির তথ্য অনুযায়ী, জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী শনাক্তের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগে মোট ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ১২০ জন, ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭৯ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জনের সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
শনাক্ত হওয়া মোট এক হাজার ১৭২ জন জাল সনদধারী শিক্ষকের মধ্যে ৪০০ জনের সনদ সম্পূর্ণ ভুয়া এবং প্রায় ৩০০ জনের সনদ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে এই ৪০০ শিক্ষকের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ডিআইএ এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে জোর সুপারিশ করা হচ্ছে।


