হলুদ দুধ, যা ‘গোল্ডেন মিল্ক’ নামেও পরিচিত, একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি যেমন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক, তেমনই, হজমশক্তি ভাল রাখতে, হাড় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, মেজাজ ভাল রাখতে এমনকি, ফুসফুস এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু শুধু দুধে হলুদ গুলে খেলেই এই সমস্ত উপকার পাওয়া যাবে না।
হলুদ দুধের উপকারিতা কয়েক হাজার গুণ বাড়িয়ে নিতে হলে তাতে দিতে হবে কিছু মশলাও। কোন কোন মশলা হলুদ দুধে দেবেন আর তার উপকারিতাই বা কী কী জেনে নিন।
গোলমরিচে থাকা পিপেরিন হলুদের কারকিউমিনের উপকারিতা দু’হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়। গোলমরিচ থাকলে তবেই শরীর কারকিউমিনের সম্পূর্ণ উপকারিতা গ্রহণ করতে পারে। হলুদে যে প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান আছে, তা যথাযথ ভাবে কাজ করতে পারে। গোলমরিচ ছাড়া হলুদ দুধের অর্ধেক উপকারিতাই পাওয়া যায় না।
আদাও একটি জোরালো প্রদাহনাশক উপাদান। আর অতিরিক্ত প্রদাহ বহু রোগের কারণ। এমনকি, অতিরিক্ত প্রদাহের জন্য ক্যানসারও হতে পারে। হলুদ দুধে আদা দিলে, তা হজমশক্তি উন্নত করে, বমি ভাব কমায় এবং গলা ব্যথা বা সর্দির উপশমে সহায়তা করে। এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
দারুচিনিতেও আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এটি প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য জরুরি। এ ছাড়া দারচিনি হলুদ দুধে সুন্দর গন্ধও জোগায়।
এলাচের সুগন্ধের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। এটি হজমেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে বিষাক্ত পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখে। এটি রোগপ্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
সাধারণত, প্রতি কাপ হলুদ দুধে ১/৪ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়েই খান অধিকাংশে। তার সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো এবং সামান্য পরিমাণে আদা, এলাচ, দারচিনি মিশিয়ে নিলে এর উপকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়।