শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে । প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাল কমপ্লেক্সের পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন। ওই সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যান। এসময় সহকারী প্রক্টর মো. আরিফুল ইসলাম একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে আটক করে মাদকসেবনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাল কমপ্লেক্সের পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন। ওই সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যান। এসময় সহকারী প্রক্টর মো. আরিফুল ইসলাম একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে আটক করে মাদকসেবনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
এ সময় হঠাৎ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহির সেখানে এসে পরিস্থিতি না বুঝেই সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি সহকারী প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে আটক শিক্ষার্থীটিকে পালাতে সাহায্য করেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অফিসে উপস্থিতদের সামনে জহির বলেন, “একজন শিক্ষক কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ার বাইরে কাউকে হাতে ধরে আটকাতে পারেন? তিনি একজন শিক্ষার্থীকে অপমান করেছেন। আমি সেই অপমান মেনে নিতে পারিনি।”
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ও কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মুরাল কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশে বসে থাকতে দেখি। সন্দেহ হলে সেখানে গেলে স্পষ্ট মাদকের গন্ধ পাই। আমাদের দেখেই তারা পালিয়ে যায়। আমরা একজনকে ধরতে সক্ষম হই। তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসার সময় সে পালানোর চেষ্টা করে। ঠিক তখনই জহির এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীটিকে ছাড়িয়ে নেয়।”
ঘটনা সম্পর্কে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শিক্ষার্থীদের সামনে তিনি বলেন, “আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। সেখানে বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”










