শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
15 C
Dhaka

মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে চুলকানি 

0

শরীরের একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো চুলকানি, যা কেবল অ্যালার্জি বা চর্মরোগ নয়, বরং লিভার,কিডনি বা রক্তের মারাত্মক রোগের সংকেত হতে পারে।

পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খানের মতে, লিভারের দীর্ঘমেয়াদী রোগে পিত্তরস ও পিত্ত অ্যাসিড রক্তে জমে ত্বকের স্নায়ু উত্তেজিত করে, যার ফলে রাতে তীব্র চুলকানি হতে পারে। এছাড়া কিডনি বিকল বা ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও সারা শরীরে চুলকানি দেখা দেয় যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

রক্তের রোগ যেমন আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা, লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে যাওয়া (পলিসাইথেমিয়া) কিংবা রক্তের ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কসংকেত হিসেবেও শরীর চুলকাতে পারে।

বিশেষ করে গরম পানিতে গোসলের পর চুলকানি হওয়া রক্তের নির্দিষ্ট কিছু রোগের লক্ষণ।

এছাড়া ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের সমস্যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় পিত্তরস জমার কারণে হাত-পায়ের তালুতে চুলকানি কিংবা কৃমি ও পরজীবীর সংক্রমণও এর অন্যতম কারণ।

মনে রাখতে হবে, ত্বকে কোনো দৃশ্যমান র‍্যাশ বা চিহ্ন ছাড়াই যদি সারা শরীরে চুলকানি হয় এবং এর সাথে ওজন কমা, জন্ডিস বা রক্তশূন্যতার মতো উপসর্গ থাকে, তবে তা কোনো জটিল অভ্যন্তরীণ রোগের ইঙ্গিত দেয়।

তাই চুলকানিকে কেবল সাধারণ চর্মরোগ মনে করে অবহেলা না করে এর মূল কারণ নির্ণয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

 

তারেক রহমান যা বললেন ১৬ মিনিটের বক্তৃতায় 

0
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দেওয়া বক্তৃতায় মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান,দেশের মানুষের অধিকার, শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা আর ভাগ্যের উন্নয়নের কথা উঠে আসে।

তারেক রহমান বলেন, প্রিয় বাংলাদেশ। উপস্থিত মুরুব্বিবর্গ, মঞ্চে উপস্থিত জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আমার সামনে উপস্থিত প্রিয় ভাই ও বোনেরা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যারা দেখছেন এই অনুষ্ঠান; প্রিয় ভাই-বোনেরা, প্রিয় মা-বোনেরা আসসালামু আলাইকুম।

‘আজ প্রথমেই আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানাতে চাই, রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের মাঝে। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ৭৫-এ আবার ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সেদিন সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একইভাবে পরবর্তীতে নব্বইয়ের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এ দেশের জনগণ, এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারপরও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। আমরা তারপর দেখেছি, ১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসা ছাত্র—দলমত নির্বিশেষে সবাই এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।

‘বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আজ আমাদের সময় এসেছে, সকলে মিলে দেশকে গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, এই দেশে একইভাবে সমতলের মানুষ আছে। এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সকলে মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু—যেই হোক না কেন—নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে ইনশাআল্লাহ ঘরে ফিরে আসতে পারে।

‘এই দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, ৫ কোটির মতো শিশু, ৪০ লাখের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে, কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছে। এই মানুষগুলোর একটা প্রত্যাশা আছে এই রাষ্ট্রের কাছে। এই মানুষগুলোর একটি আকাঙ্ক্ষা আছে এই দেশের কাছে। আজ আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আজ আমরা যদি সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, তাহলে আমরা সেই লাখো-কোটি মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি, ইনশাআল্লাহ।’

তারেক রহমান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, ’৭১ সালে আমাদের শহীদরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, এরকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের আমলে শত শত হাজার হাজার মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছে। ২০২৪ সাল মাত্র সেদিনের ঘটনা, আমরা দেখেছি কীভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য।

‘প্রিয় ভাই-বোনেরা মাত্র কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে, ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। প্রিয় ভাই-বোনেরা, ওসমান হাদি চেয়েছিল এই দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। এই দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ফিরে পাক। আজ চব্বিশের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, ওসমান হাদিসহ একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, সেই মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে আমরা সকলে মিলে কাজ করব, যেখানে আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে। আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন। এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে এই দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। শক্ত ভিত্তির ‍ওপর গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে যাতে দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, আসুন, আজকে আমরা দু’হাত তুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আল্লাহর রহমত আমরা চাই। যে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ এই মঞ্চে আছেন, এই মঞ্চের বাইরে যে সকল জাতীয় আরও নেতৃবৃন্দ আছেন, আমরা সকলে মিলে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে কোনো মূল্যে আমাদের এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যে কোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই, আমরা দেশে শান্তি চাই, আমরা দেশে শান্তি চাই।

‘মার্টিন লুথার কিংয়ের (প্রখ্যাত আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী) একটি বিখ্যাত উক্তি আছে—আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই—আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যদি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, ইনশাআল্লাহ—আই হ্যাভ আ প্ল্যান, আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।’

তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি—হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ার দিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী; আজ আপনি যদি আমাদের রহমত দেন, আমরা এই মানুষ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবো। আজ যদি আল্লাহর রহমত এই দেশ এবং এই দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহর সাহায্য আল্লাহর দয়া যদি এই দেশের মানুষের ওপরে এই দেশের ওপরে থাকে. আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

‘আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি যে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সবাই মিলে নবী করিমের (সা.) যে ন্যায়পরায়ণতা, সে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবো।’

খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারেক রহমান বলেন, আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাবো। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এ দেশের মাটি, এই দেশের মানুষকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবেসেছেন। আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছেই আমি চাইবো, আপনারা আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন। যাতে আল্লাহ ওনাকে তওফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন। সন্তান হিসেবে আমার মন সেই হাসপাতালে আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে। সেই মানুষ যাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই মানুষগুলোকে আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না। তাই আজ হাসপাতালে যাওয়ার আগে আপনাদের প্রতিসহ সমগ্র বাংলাদেশে টেলিভিশনগুলোর মাধ্যমে যারা আমাকে দেখছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য দাঁড়িয়েছি আপনাদের সামনে।

‘আসুন, আমাদের আজকে নিশ্চিত করতে হবে, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, যে শ্রেণির মানুষ হই, আমরা যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, যে কোনো মূল্যে আমাদের দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে। যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যে কোনো বয়স, যে কোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, এই হোক আমাদের চাওয়া।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, আসুন সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই- সবাই মিলে করবো কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ। যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে, যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে ধৈর্যসহকারে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। মনে রাখবেন, উই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, উই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর দ্যা পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই প্ল্যান বাস্তবায়ন করবো।

 

তারেক রহমান স্মরণ করলেন ওসমান হাদিকে

0

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট সড়ক)সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনতার উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর এটাই তার প্রথম বক্তব্য।

তারেক রহমান বলেন, একাত্তরে দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এখানে পাহাড়ে যেমন মানুষ রয়েছে, তেমনি সমতলে রয়েছে। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ সকল ধর্মের মানুষ রয়েছে। তরুণ নারী-পুরুষ-কৃষক প্রত্যাশা রয়েছে রাষ্ট্রের কাছে, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে সকলের আশা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। ১৯৭১ সালে আমাদের শহীদেরা যে রকম দেশ গড়ার জন্য চেয়েছিলেন। গত ১৫ বছর মা-বোনেরা, তরুণপ্রজন্ম নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। ওসমান হাদীসহ যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রত্যাশিত দেশ গড়া সম্ভব। ধৈর্য ধরতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ পেরিয়ে মাটি ছুঁয়ে দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন তারেক রহমান।

তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কড়া নিরাপত্তায় বুলেটপ্রুফ বাসে করে, রাস্তার দুপাশে দাঁড়ানো লাখ লাখ নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এবং জনতার উত্তাল তরঙ্গ পেরিয়ে ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত হন তারেক রহমান।

১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা 

0

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী ৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৬ শুরুহচ্ছে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে।

উদ্বোধনী দিনে সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইপিবি জানিয়েছে, এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’, যেখানে দর্শনার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে।

মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৫০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তানসহ কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য চালু থাকবে ই-টিকিটিং সুবিধা এবং টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। শিশুদের বিনোদনের জন্য দুটি শিশুপার্কও রাখা হয়েছে।

এদিকে নাম পরিবর্তনের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় মেলাটি আগের নাম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ নামেই অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে এ মেলা পূর্বাচলের বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হচ্ছে।

 

তারেক রহমান মাতৃভূমির মাটি ছুঁয়ে মুক্ত বাতাসে 

0

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেঅবতরণ করে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট।

বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনদের ভালোবাসায় সিক্ত তারেক রহমান ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসেন বিমানবন্দরের বাইরে।

আগে থেকেই রাখা বিশেষ গাড়িতে চড়েন তারেক রহমান। এরপর রওনা হন রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন বিশাল গণসংবর্ধনা সমাবেশে।

বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাস্তার দুপাশে অপেক্ষমাণ লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণসংবর্ধনা ও এভারকেয়ার হাসপাতালে মা খালেদা জিয়াকে দেখার পর তারেক রহমান গুলশানের বাসভবনে ফিরবেন।

আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হবে তার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।

বিমানবন্দরে তারেক রহমান ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টাকে 

0
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসেরবিশেষ ফ্লাইট ‘বিজি ২০২’ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে এলে তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরপর লাউঞ্জের একটি কক্ষে অপেক্ষারত তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু গোলাপ ফুলের মালা গলায় পরিয়ে দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন তিনি। এরপর মোবাইল ফোনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।

এ সময় তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলেক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

হালদা নদীতে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মোবাইল কোর্টের অভিযানে জরিমানা

0

এশিয়ার একমাত্র মৎস্য হ্যারিটাজ হালদা নদীতে মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৩টার দিকে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার চালনার মাধ্যমে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে ৬ জন ব্যক্তির প্রত্যেককে ৩০ (ত্রিশ) দিন করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমান। অভিযান পরিচালনাকালে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শওকত আলী, হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করেন।
হালদা নদীর মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নাগরিক ঐক্যের মান্না অংশ নিতে পারবেন না নির্বাচনে 

0
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এআদেশ দেন।

আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না রিট করেছিলেন। আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।

এর আগে, ১০ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। শাখা প্রধান তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরিত নোটিশটি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।

তথ্য অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মাহমুদুর রহমান মান্নার অংশ ৫০ শতাংশ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর অংশ ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজুর অংশ ২৫ শতাংশ। গত ৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ মোট ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

খোসপাঁচড়া হলে এর জন্য প্রতিকার কী

0

নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওবিভাগীয় প্রধান ডা. আসমা তাসনীম খান জানান যে, আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা তার ব্যবহৃত জামা-কাপড়, বিছানা ও তোয়ালের মাধ্যমে এই জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষ করে হোস্টেল, মাদ্রাসা, বস্তি এলাকা বা ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে যেখানে অনেকে একসঙ্গে বসবাস করেন, সেখানে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

স্ক্যাবিসের প্রধান উপসর্গ হলো সারা শরীরে তীব্র চুলকানি, যা বিশেষ করে রাতে অনেক গুণ বেড়ে যায়। শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে যেমন আঙুলের ফাঁকে, কবজি, কনুই, বগল, নাভি ও গোপনাঙ্গে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ দেখা দেয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না করালে এটি মারাত্মক ঘায়ে পরিণত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনির জটিলতা সৃষ্টি করার ঝুঁকি তৈরি করে।

এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যারা দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী, তাদের ক্ষেত্রে ‘নরওয়েজিয়ান স্ক্যাবিস’ বা ‘ক্রাস্টেড স্ক্যাবিস’ হতে পারে, যাতে চামড়া পুরু হয়ে স্তর জমে যায়।

এই রোগের চিকিৎসায় সাধারণত পারমিথ্রিন, প্রোটামিটেন বা সালফার ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডা. আসমা তাসনীম বলেন, বাংলাদেশে পারমিথ্রিন ক্রিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গলা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পুরো শরীরে মেখে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা রাখতে হয়। সাত দিন পর এই প্রক্রিয়াটি পুনরায় অনুসরণ করতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে আইভারমেকটিন নামক মুখে খাওয়ার ওষুধও দেওয়া হতে পারে, তবে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা নিষিদ্ধ।

চিকিৎসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো রোগীর ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানার চাদর গরম পানিতে ফুটিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ইস্ত্রি বা আয়রন করে নেওয়া। প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে হলে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং পরিবারের কেউ সংক্রমিত হলে দ্রুত সবার একত্রে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।

নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই এই কষ্টদায়ক চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রধান উপায়।

 

জয়েন্টে ব্যথা হলেই সেটি বাতের ব্যথা নয়

0

স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের স্নায়ুরোগ বিভাগের ক্লিনিক্যাল স্টাফ ডা. হিমেল বিশ্বাসের মতে, আমাদেরদৈনন্দিন চলাফেরায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই অস্থিসন্ধির ব্যথার উৎস অনেক ক্ষেত্রে মাংসপেশি, টেন্ডন কিংবা জটিল স্নায়ুতন্ত্রও হতে পারে।

সাধারণত মানুষ জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করলেই সেটিকে বাত হিসেবে ধরে নেন। যদিও বাতের প্রকারভেদে যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসে জয়েন্ট ফুলে যাওয়া বা লালচে ভাব হতে পারে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথার প্রকৃত কারণ থাকে ভিন্ন।

যেমন জয়েন্টের আশপাশের টেন্ডন বা বার্সাতে প্রদাহ হলে কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রম ও খেলার কারণে লিগামেন্টে টান লাগলেও তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই সব ব্যথাকে বাত ভেবে ভুল চিকিৎসা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

অনেক সময় জয়েন্টের কাছাকাছি অনুভূত হওয়া ব্যথার মূল উৎস থাকে স্নায়ুতন্ত্র বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। যখন মেরুদণ্ড থেকে বেরিয়ে আসা কোনো স্নায়ুতে চাপ পড়ে, তখন সেই ব্যথা হাত বা পায়ের জয়েন্ট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘রেফার্ড পেইন’ বলা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, ঘাড়ের নার্ভে চাপের কারণে কাঁধ বা কনুইতে ব্যথা হতে পারে। আবার ডায়াবেটিসের কারণে হাত-পায়ের প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি দেখা দিলে জয়েন্টের আশপাশে জ্বালাপোড়া ও অসারতা তৈরি হয়।

এছাড়া ফাইব্রোমায়ালজিয়ার মতো স্নায়বিক রোগের কারণেও শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, জয়েন্টের ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সকালে বেশি অনুভূত হয় কিংবা ব্যথার সাথে ঝিনঝিন বা অসারতা থাকে, তবে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমেই কেবল বাত বা স্নায়বিক সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব।