বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
29.1 C
Dhaka

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মুখ খুলল কাতার

0

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছে কাতার। দেশটি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া তারা মধ্যস্থতার কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটি এটিকে ‘অনিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এমনকি এজন্য ‘খুবই মারাত্মক পরিণতি’ হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান যখন ইতিবাচক কূটনৈতিক পথে অগ্রসর হচ্ছিল তখন এই হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় যেখানে অনেক আঞ্চলিক দেশ জড়িত ছিল।

তিনি বলেন, কাতার এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতায় নিয়োজিত রয়েছে এবং ‘একটি চুক্তির জন্য আমেরিকার আগ্রহ রয়েছে বলে বিশ্বাস করে’।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা যুদ্ধরত পক্ষগুলোর- ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ চালিয়ে যাব।

এদিকে ইরানে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো। মঙ্গলবার ২০টি আরব ও মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানান তারা।

যৌথ এ বিবৃতিতে অংশ নিয়েছেন- মিসর, জর্ডান, পাকিস্তান, বাহরাইন, ব্রুনাই, তুরস্ক, চাদ, আলজেরিয়া, কোমোরোস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিবুতি, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, ইরাক, ওমান, কাতার, কুয়েত, লিবিয়া এবং মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে বিপজ্জনক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছে তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা বলেন, প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সুসম্পর্ক রক্ষার নীতিকে সম্মান জানানো উচিত। সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে।

বিবৃতিতে তারা মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে মুক্ত করার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটিতে) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, জানাল ইসরাইল

0

ইরান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে নতুন করে মিসাইলের বহর নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, ‘হুমকি’ প্রতিহত করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে।’ খবর আল জাজিরার।

বাসিন্দাদের সতর্ক করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘সতর্কতা সাইরেন শুনলেই দয়া করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান এবং নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করুন।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ‘তেহরান খালি করার’ মতো কড়া হুঁশিয়ারি দেন, তার কিছুক্ষণ পরই ইরানের রাজধানী ও আশপাশের অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনী ৫ম দিনের মতো ইরানে এই হামলা চালায়।

বিবিসির খবরে জানা যায়, তেহরানের আন্দারযগৌ এলাকায় ইসরায়েলি হামলার সম্ভাব্য গোলা আঘাত হেনেছে। একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা জানায়, শহরে অন্তত দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, তারা আজই (মঙ্গলবার, ১৭ জুন) এমন একটি নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশই এই প্রযুক্তির মালিক। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে ইরান অন্তত ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যার মধ্যে কয়েকটি সরাসরি লক্ষ্যভেদ করে।

মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বড় ধরনের সামরিক সংঘাত এখন যেন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

 

‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত’

0

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন রাজনৈতিক দলগুলো বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেটা সংবিধানের ৯৫-এর ১ অনুচ্ছেদ ও ৪৮-এর ৩ অনুচ্ছেদে আছে সেগুলো সংশোধনের ব্যাপারে এক ধরনের ঐকমত্য হয়েছে। দুটি দল ছাড়া অধিকাংশ দল এ বিষয়ে এক জায়াগায় এসেছে। আমরা আগামী বৈঠকে আবার এটি নিয়ে আলোচনা করব যাতে সবাই ঐকমত্যে আসতে পারেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আলী রীয়াজ বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। কিন্তু এটাও বলব নীতিগতভাবে কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু এটা অধিকাংশই স্বীকার করেছেন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। অধিকাংশই ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রতিদিন কিছু কিছু বিষয় অগ্রসর হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে।

 

কবে আসছেন তারেক রহমান, জানালেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু

0

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিবর্তনে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দিয়ে নির্বাতচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরে বরিশাল ক্লাবের হল রুমে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সদস্য ফরম নবায়ন ও তৃনমূল পর্যায়ে প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল আউয়াল বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে নির্বাচন এগিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা গেলে বুঝতে হবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আর নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।

দ্রুততম সময়ে নির্বাচন হলে দেশের অস্থিতিশীলতা কমবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এতে করে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাড়বে, একইসঙ্গে বাড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কিছু দল বিরোধিতা করার বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের বেশিরভাগ রাজিনৈতিক দল কী চায়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে বিএনপিসহ ৬২টি দল রয়েছে যার বেশিরভাগ নির্বাচনের পক্ষে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে সদস্য ফরম নবায়ন ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক সদস্য ফরম তুলে দেন।মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নুসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

করোনা-ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা

0

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। একই সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার কাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে।

রোববার (১৫ জুন) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেনের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত আদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বলা হয়, দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা কাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

করোনা ভাইরাস রোধে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বার বার প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড); জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা; আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা; অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা; হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

বালির আদলে কক্সবাজারকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা!

0

ইন্দোনেশিয়ার বালির আদলে কক্সবাজারকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের গেটওয়ে হিসেবে সমুদ্র-শহরের বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। কিন্তু বিদেশিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা না থাকায় লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না বিমানবন্দরটি। এমনটি জানিয়ে অংশীজনরা বলছেন, বিগত সরকারের ভুল নীতি থেকে বেরিয়ে দরকার সমন্বিত পদক্ষেপ। পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য আলাদা জোন করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে দারুণ সব অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। বালির আদলে সমুদ্র-শহর কক্সবাজারকে গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের গেটওয়ের নির্মাণযজ্ঞ শেষের দিকে। তবে কেন আসবে কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক? সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকার প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন- শুধু কি সাগর দেখতেই অর্থ খরচ করতে আসবেন বিদেশিরা?

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারে শুধু বিমানবন্দর বা হোটেল-মোটেল থাকলেও এটি একটি ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হয়ে গেছে, বলার সুযোগ নেই।

বিগত সরকার অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা-পর্যালোচনা ছাড়াই এককেন্দ্রিক এয়ারপোর্ট উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে বলেও অভিযোগ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। পর্যটন বিশেষজ্ঞ তৌফিক রহমান বলেন, যারা বাংলাদেশে বিদেশিদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো জানে, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।

কক্সবাজারে কোন ধরনের পর্যটক আসবে, বিদেশিদের জন্য আলাদা জোন তৈরি, বালুকাময় সৈকত কীভাবে সাজানো হবে, সেসব গবেষণায় আধুনিকতা, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোয়েব-উর-রহমান বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পরিচালক নাফিস ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত শুধু বালি নয়, পৃথিবীর যে কোনো সৈকতের চেয়ে সুন্দর হবে।

ট্যুরিজম বোর্ড কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করলেও নতুন করে ডিজাইনিংয়ে হাত দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), জানান পর্যটন বোর্ড সিইও। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, পুরো এলাকাটি পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য সুন্দরভাবে তৈরি করতে পরিকল্পনা মাস্টার প্ল্যানে রাখা হয়েছে। এরমধ্যেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কক্সবাজারকে যতটা বহুমুখী অর্থনৈতিক কারবারে সংযোগ করা যাবে, ততই দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে বিদেশি মুদ্রা, পরিবর্তন আসবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে।

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৬.১৪ বিলিয়ন ডলার

0

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে এখন ২৬১৪৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন বা ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ১৫ জুন পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬১৪৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০৮৬৩ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর আগে চলতি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬০৬৪ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০৭৬৮ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

ইসরায়েলি হামলায় মার্কিন সম্পৃক্ততার দৃঢ় প্রমাণ থাকার দাবি ইরানের

0

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, ইরান প্রমাণ পেয়েছে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েলি এ হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে থাকতে হবে।

তেহরানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে রোববার (১৫ জুন) এক বৈঠকে আরাঘচি বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েল যে হামলা চালাচ্ছে, তার জবাব দেওয়া এবং আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের আছে। শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল একা এসব হামলা চালাতে পারত না, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা না থাকত।

আরাঘচি বলেন, ইরান ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যে, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রমাণের চেয়েও বড় বিষয় হলো- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন। এর অর্থ হলো, এ হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্রেরও আছে এবং তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে তারা এসব হামলাকে সমর্থন করে না এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা করতে হবে। তেহরান আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা থেকে নিজেকে দূরে রাখবে।

আরাঘচি আরও বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের এ হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও চুপ রয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি জানান, ইরান শুধু আত্মরক্ষা ও আগ্রাসনের জবাব দিতে ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকায় সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

আরাঘচি বলেন, প্রথম দিন ইরান শুধু ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু পরের দিন ইসরায়েল যখন ইরানের অর্থনৈতিক স্থাপনায় আক্রমণ শুরু করে, তখন শনিবার রাতে ইরানও পাল্টা জবাব দেয় এবং তাদের অর্থনৈতিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল তেহরানের কিছু আবাসিক এলাকা, সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, অন্তত ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং অনেক সাধারণ মানুষ শহিদ হয়েছেন।

এবার দিনের আলোয় ইরানের হামলা শুরু

0

ইরান থেকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র ঢেউ ইসরায়েলের শহরগুলোতে পৌঁছানোর আগেই বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে তারা। রোববার (১৫ জুন) বিকেলে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দেশজুড়ে নাগরিকদের বিভিন্ন আশ্রয়স্থলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। খবর সিএনএন।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের হুমকি প্রতিরোধে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। তেলআবিব শহরে সাইরেন বাজানো হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, হোম ফ্রন্ট কমান্ড এখন দেশের সব বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। জনসমাগম এড়াতে এবং বাইরে চলাচল যতটা সম্ভব কমাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলের দিকে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এবারই প্রথম দিনের আলোয় হামলা শুরু করেছে ইরান। পরবর্তী হামলাগুলো আরও কঠিন এবং বড় পরিসরে চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিকের সামরিক মুখপাত্র।

গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানি গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা আক্রমণে ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে ইরান প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও অংশ নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

আরাঘচি বলেন, জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইনের একটি নতুন রক্তরেখা অতিক্রম করেছে- তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েল এখন ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং শিরাজের একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের সাধারণ জনগণকে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার আশপাশের এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কোনো রকম হামলা চালায়, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ।

পরিস্থিতির উত্তপ্ততা বিবেচনায় রেখে দুই দেশই আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।

যমুনা সেতুর দুই প্রান্তের সড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট

0

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এতে উত্তরের মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকলের কারণে যমুনা সেতুর দুই পাশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৪ জুন) ভোর থেকে এ যানজট শুরু হয়। টাঙ্গাইল অংশে অবশ্য শুক্রবার মধ্যরাত থেকে যানজট শুরু হতে থাকে।যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে সকাল থেকেই ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়। থেমে থেমে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল মোড়ে বাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। দুপুরের দিকে যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাস না পেয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক বা পিকআপে চড়ছেন ঢাকায় ফেরার জন্য।

অন্যদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে টোলপ্লাজা থেকে টাঙ্গাইলের বিক্রমহাটি পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই এই যানজট শুরু হয়। ফলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, মহাসড়কে গণপরিবহনের সংকট থাকায় বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ট্রাক ও পিকআপে চড়ছেন। স্বাভাবিকভাবে ১ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা, যার কারণে গরমে ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা।

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।