সারাদেশে কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড শীত। সাথে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। এতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অনেকেই এখন ভুগছেন সর্দি-কাশিসহ গলা ব্যথায়। তীব্র শীতে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা গলা ব্যথা, গলা খুসখুসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
অনেকেই গলা ব্যথার সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ সেবন করেন। তবে তার আগে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে ভরসা রাখতে পারেন। চলুন জেনে নিন কিছু করণীয়:
আদা
গলা ব্যথার সমস্যায় আদা খুবই উপকারী। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দ্রুত সারায় গলার যে কোনও সমস্যা। একটি এক-দেড় ইঞ্চি আদার টুকরা নিন। একটু ছেঁচে, অল্প আঁচে এক গ্লাস পানিতে সেদ্ধ করুন। ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। গরম গরম চুমুক দিয়ে খান। চাইলে নামানোর আগে একটু চা–পাতা দিয়ে ছেঁকে নিতে পারেন। মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিন আদা চা। এছাড়া চায়ে থাকে নানা উপকারী উপাদান। যা বহু সমস্যার করতে পারে সমাধান।
লবণ পানি
গলা ব্যথা বা গলা খুসখুসের সমস্যা সমাধানে লবণ পানি খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস পানি গরম করে তাতে আধা চামচ লবণ মেশান। তারপর এক চুমুক পানি মুখে নিন, আর গার্গল করুন অন্তত ১০ সেকেন্ড সময় ধরে। দিনে ২-৩ বার গার্গল করুন। দেখবেন দু-এক দিনের মধ্যেই গলা খুসখুস কমে গেছে।
হলুদ-দুধ
হলুদ দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামের একটি পদার্থ। এটি আশ্চর্যজনকভাবে ক্ষত, ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারে। তাই গলা ব্যথা ও গলা খুসখুসে ভাব দূর করে হলুদ। এক্ষেত্রে গরম দুধের সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। হলুদ-দুধ তাই এক কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা। একটি পাত্রে এক কাপ দুধ নিন। ১/৪ চামচ হলুদ গুঁড়া যোগ করুন। ফুটিয়ে গরম গরম পান করুন। হলুদের কার্যকারিতা আরও ভালোভাবে পেতে কাঁচা হলুদ ফুটিয়ে নিন দুধে। একটু মিষ্টি স্বাদ আনতে মধু বা গুঁড় মিশিয়ে পান করুন।