রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের নামে খেলা হচ্ছে। অবাক লাগে এই শীতের দিনে সরকারি বাহিনী, সরকারি কর্মচারীদের গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। কিসের ভোট? যেখানে সবই সরকারি দল, জোট বা মহাজোটের লোক। সবাইকে নৌকা দিলেই তো হয়। কারা ভোটে জিতবে তা আজ বা কালই জানা যাবে।
তিনি বলেন, আসলে কারা টিকবে নির্বাচনে এটা তো আগেই ঠিক করা। এই গরিব দেশে কেন এত টাকা খরচ করা হচ্ছে? যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকছে, ভ‚মিহীন মানুষ কষ্ট করছে, সেখানে এমন একটা প্রহসনের নির্বাচনে কেন প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। ঘোষণা করে দিলেই হয় কে কোন আসনের এমপি।
তিনি আরও বলেন, পাতানো খেলায় বিএনপি কখনো অংশ নেয় না। নির্বাচন ঘিরে আপসের কোনো জায়গা নেই। লড়াই চলছে, চলবে। প্রতিদিন বিরোধী মতের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিদিন একের পর এক মামলায় শুধু পুলিশি সাক্ষীতে সাজা দেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। তাদের অপরাধ কী? তারা শুধু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন।’
‘একরাতেই সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি’ কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের এমন বক্তব্যের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কখনো দাবিও করিনি আপনারা (আওয়ামী লীগ) পদত্যাগ করেন আমরা ক্ষমতা নেব। আমরা বলেছি, আপনারা পদত্যাগ করু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারা সরকার গঠন করবে। বাংলাদশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ ধ্বংস করছে। কখনো নিজেরা করেছে কখনো অন্যদের দিয়ে করেছে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, স্বৈরশাসনের গোরস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাগান রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮২ সালে সামরিক শাসন জারি করে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। তখন স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন খালেদা জিয়া। ইমারজেন্সি দেওয়া হলে তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল আমাদের আন্দোলনের ফসল। সেই সময়ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন খালেদা জিয়া। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলেও মনে করেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এ নেতা।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আবদুল হাই শিকদার, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক কামরুল আহসান, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।