শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরের দিকে এটি কেন্দ্রীভূত হয়েছে।এদিকে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অনেকটাই কমে গেছে। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই সেই অর্থে বৃষ্টির দেখা মিলছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরো অন্তত তিন-চার দিন বৃষ্টিপাত একই রকম কম থাকতে পারে সারা দেশে। তবে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে আবারও দেশের কোনো কোনো অংশে বৃষ্টি বাড়তে পারে।এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের গুজরাটে একটি ঘূর্ণিঝড় (আসনা) তৈরি হয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে কিছুটা মিলিত হতে পারে।
এ ছাড়া পশ্চিম-মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটিও ধীরে ধীরে স্থলভাগে উঠে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হতে পারে। দুইয়ের প্রভাবে ৩ বা ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বাকি বিভাগগুলোর দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণও হতে পারে। সারা দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি কমবেশি একই রকম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ শব্দের অর্থ সর্বোচ্চ, উজ্জ্বলতম এবং প্রশংসনীয়। এর আগে ১৯৪৪, ১৯৬৪ এবং ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসেও আরবসাগরে পৌঁছানোর আগে ভূমিভাগেই গভীর নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়েছিল। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরতি হয়নি।