ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের সুযোগ কেউ দেখছিল না, তবে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজেই বাজিমাত করল টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারানোর পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে এনেছে লিটন দাসের দল। যার ফলে উইন্ডিজে ঐতিহাসিক এক সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ফলে ২৭ রানের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৯ রান। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন শামীম হোসেন। ১৭ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান সংগ্রহ করা বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে তোলে ৮৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের শুরু থেকেই কঠিন পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশি বোলাররা। তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং এবং আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জবাব দিতে ব্যর্থ হন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটাররাও। জনসন চার্লস ১৪ রান করলেও নিকোলাস পুরান ফিরে যান শূন্য রানে। শেখ মেহেদী হাসান পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এরপর হাসান মাহমুদ এবং তানজিম হাসান সাকিব উইকেট শিকারে যোগ দেন। ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল করেন মাত্র ৬ রান, আর রোমারিও শেফার্ড আউট হন শূন্য রানে।
শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২৭ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।বল হাতে বাংলাদেশি বোলাররা ছিলেন অনবদ্য। তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে শিকার করেন ৩টি উইকেট। শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন এবং তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ১টি উইকেট।এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।