২০২৬ বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচের প্রতিটি হাফ-এর মাঝামাঝি সময় (প্রায় ২২ মিনিটের মাথায়) প্রত্যেক হাফে ৩-
মিনিট “হাইড্রেশন (পানির) বিরতি” রাখা হবে। অর্থাৎ, যত গরম বা যত ঠাণ্ডা তাপমাত্রা বা আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করবে না।
রেফারি সেই সময় গেম রূপে থামিয়ে দেবে এবং খেলোয়াড়রা পানি পান বা বিশ্রাম নিতে পারবে। এই নতুন নিয়ম পুরনো “কুলিং ব্রেক / হাইড্রেশন ব্রেক”-এর বদলে এসেছে। আগের নিয়মে কেবলমাত্র তাপমাত্রা খুব বেশি হলে (শুরু তাপমাত্রা যদি ৩১ °C–এর বেশি হত) প্রতিটি অর্ধের ~৩০ মিনিট পর বিরতি দেওয়া হতো।
২০২৫ সালের FIFA Club World Cup–এ গরম ও উচ্চ আদ্রতায় কিছু ম্যাচের সময় খেলোয়াড়দের সমস্যা হওয়ায় অর্থাৎ গরম,আদ্রতা ও ক্লান্তি তার প্রভাব পড়েছে। FIFA বলেছে, ভবিষ্যতে বড়-মাপের টুর্নামেন্টে এমন ঝুঁকি কমাতে গতিবিধি সহজ করা হবে।
একই সঙ্গে, নতুন নিয়ম ‘সব ম্যাচে একই’ এটা নিশ্চিত করে, যাতে প্রতিযোগিতায় ন্যায্যতা বজায় থাকে। কোনো ম্যাচ শুধু আবহাওয়া বা ভেন্যু অনুযায়ী সুবিধা–অসুবিধা না পায়।
এছাড়া, সময়সূচি নির্ধারণ করা ব্রডকাস্টারদের জন্য স্লট সুবিধাজনক হবে, এবং আয়োজনকারী ও দর্শকদের জন্যও ম্যাচের গতি ও পরিকল্পনা সহজ হবে।
২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকো, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে। এটি হবে ইতিহাসের প্রথম ৪৮-দলীয় বিশ্বকাপ। মোট ১০৪টি ম্যাচ গ্রুপ স্টেজ থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচ হবে ১১ জুন ২০২৬ তারিখে, যেখানে মুখোমুখি হবে মেক্সিকো বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
খেলোয়াড়দের জন্য গরম, আদ্রতা বা ক্লান্তি যে কোনো ভৌগোলিক বা আবহাওয়া-প্রভাব থাকলে নিয়মিত পানি পানের সুযোগ মিলে। ফলে ইনজুরি বা দৈহিক সমস্যার সম্ভাবনা কমবে।
৪৫-মিনিট হাফ যেমন থাকবে, কিন্তু নিয়মিত বিরতি মানে এখন হাফগুলো ‘প্রায় দুই ভাগে’ হবে যা কেসভেদে খেলার গতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে।
ব্রেক থাকা মানে কোমার্শিয়াল / বিজ্ঞাপন / বিশ্লেষণ এর জন্য সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যাবে। ফলে সম্প্রচারে নতুন সুবিধা তৈরি হতে পারে। আবার, খেলোয়াড় বা কোচরা ওই সময় স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে চাইলে খেলা একটু ভিন্ন রূপ নিতে পারে।


