রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৫৯ ওভারে ৫৩১ রানে অলআউট হয়েছে লঙ্কানরা। সফরকারীদের পক্ষে কুশাল মেন্ডিস করেন ৯৩ রান। এ ছাড়াও আগের টেস্টে দ্বিশতক হাঁকানো কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৯২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।
চা-বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে একদিক থেকে রানের চাকা ঠিকই বাড়াতে থাকেন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা কামিন্দু। বিশ্বা ফার্নান্দোকে নিয়ে ধীরে ধীরে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। অবশ্য তার ইনিংস আরো আগেই শেষ হতে পারত। তবে আবারও বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের কল্যানে ৬০ রানে জীবন পান তিনি।
জীবন পেয়ে তা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। পেয়ে যেতে পারতেন টানা তৃতীয় শতকও।
দশম উইকেটে তার সঙ্গে ব্যাটে ছিলেন পেসার আসিথা ফার্নান্দো। তাই ঝুঁকি না নিতে তাইজুল ইসলামের করা ওভারের শেষ ডেলিভারিতে সিঙ্গেল রান নিতে যান কামিন্দু। যাতে সাড়া দিতে গিয়ে নন-স্ট্রাইকে থাকা আসিথা রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন। ফলে ৯২ রানে অপরাজিত থেকে ফিরতে হয় কামিন্দুকে, এতে আরও একটি সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ইনিংস শেষ হলো সফরকারীদের। এর আগে দ্রুত তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে কামিন্দু তাইজুলের ওভারটিতে দুটি ছয় হাঁকিয়েছেন।
অবশ্য কামিন্দু শতক না পাওয়ায় একটি রেকর্ডও হয়েছে। বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চাপা দিলেও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে লঙ্কান ব্যাটারদের কেউ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তাদের হয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন ছয়জন ব্যাটার। আর এর মাধ্যমেই সেঞ্চুরিবিহীন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল ধনাঞ্জয় ডি সিলভার দল। এর আগে ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত টেস্টের এক ইনিংসে ৫২৪ রান করেছিল। যা ছিল কোনো ব্যাটারের সেঞ্চুরি ছাড়া টেস্ট ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সেটি টপকে আরও ৭ রান বেশি করেছে লঙ্কানরা।