সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে ঢাবি, জাবি প্রভৃতি ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। আহত শিক্ষার্থীদের ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই প্রতিবাদে সরব হন সাধারণ মানুষ এবং একই সঙ্গে তারকারাও। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই তারকা ক্রিকেটারও।
ঢাবি শিক্ষার্থী এবং জাতীয় দলের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় এই সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়… আর রক্তাক্ত না হোক ‘
তাওহিদ হৃদয়, যিনি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে পড়াশোনা করছেন, তিনি জানান, সবকিছু থেকে দূরে ছিলেন এবং অনেক কিছুই দেখতে পাননি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের সহিংসতা থেকে মুক্ত থাকবে।
ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার শরিফুল ইসলামও। নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি একজন ক্রিকেটার হলেও একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।’
উল্লেখ্য কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, যা রাতারাতি ঢাবিসহ দেশের অনান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং রাজধানী ও দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।