সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা সহজিকরণ, সরাসরি ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে হাইকমিশনার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বাংলাদেশে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘ওই সময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে।’
বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে দুজন একমত প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের হাইকমিশনার গত ১৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। তাছাড়া দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজীকরণের বিষয়ে সম্মত হন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল ও জাইন আজিজসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।