সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে নানা প্রশ্ন করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। এবার সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টিও সেই ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের (০৩ ডিসেম্বর) ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণকে জেনে থাকবেন। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও এ সংগঠনের সদস্যা। বাংলাদেশের এ নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোনো আইনজীবী তার পাশে দাঁড়াননি। কেননা তার আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে যারা আটক রয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বজায় রেখে আচরণ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি এবং অব্যাহত জোর দিচ্ছি।
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, ব্রিটিশ এমপি ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি প্যাটেল পার্লামেন্টে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগতভাবে এবং কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমাদের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সবার সম্মান থাকা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যে কোনো ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। এমনকি কোনো ধরনের ক্র্যাকডাউনের বিষয়েও সরকারের আইনের শাসনকে সম্মান জানানো উচিত। এর অংশ হিসেবে মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি।