জাপানের মধ্যাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানা ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৮ জনে। বৃহস্পতিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এখনও অর্ধশতাধিক লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে শিগগিরই আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এনএইচকে জানিয়েছে, এরই মধ্যে আরও ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
টোকিও-ভিত্তিক কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫১ জনের অবস্থান অজানা রয়ে গেছে। এখনও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার থেকে জাপানে প্রায় ৬০০ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাপান সাগরের মুখোমুখী নোটো অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইশিকাওয়া প্রদেশ। সেখানেই বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন।
জাপান অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে হাজার হাজার সেনা সদস্য কাজ করছে। তবে খারাপ আবহাওয়া ভূমিকম্প-পরবর্তী কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ‘দুর্যোগের প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ উপর জোর দিয়েছেন। তার সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রায় ৮ বিলিয়ন ইয়েন (২৮ মিলিয়ন ডলার) অনুদান দেওয়ার কথা ভাবছে।
অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইশিকাওয়া প্রদেশে অন্তত ৩৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইশিকাওয়া, তোয়ামা এবং নিগাতা প্রদেশের প্রায় এক লাখ ১০ হাজার পরিবার এখনও পানিহীন অবস্থায় রয়েছে।
পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই দেশটিতে বেশি ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের মতো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। ভূমিকম্পগুলোর অধিকাংশই ক্ষীণ হয়ে থাকে। তবে দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পকের অনেক রেকর্ড রয়েছে।