টিভি-টু’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেনে বাড়তি অস্ত্র পাঠানো এবং দেশটিতে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে যত আলাপ-আলোচনা চলছে তার সবই আমাদের যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: আরটি
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সব দেশ বলেছিল তারা কিয়েভকে অস্ত্র দেবে না বরং হেলমেটের মতো প্রাণঘাতী নয়- এমন সামরিক সরঞ্জাম দেবে। কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করে চলেছে।
ভিক্টর অরবান আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় এটা মোটেই বাড়তি কথা হবে না যে, পশ্চিমারা এখন মূল যুদ্ধ থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে পশ্চিম ইউরোপ অথবা মার্কিন সেনাদের ইউক্রেনের মাটিতে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সরাসরি যুদ্ধ থেকে এই মুহূর্তে কয়েক ইঞ্চি দূরে রয়েছি।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ নেতা এ বিষয়গুলো বিবেচনা করছেন না বরং তারা যুদ্ধ চান। তবে এখনো পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যেখান থেকে আর ফিরে আসার পথ নেই।
তিনি বলেন, এখনো রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়া থামানো যেতে পারে, এজন্য শুধু প্রয়োজন পশ্চিমা সরকারগুলোতে পরিবর্তন। ভিক্টর অরবান বলেন, যদি ইউরোপীয় নেতারা শান্তি চান তাহলে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সম্ভব। তারা এই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি আনতে পারে।
ভিক্টর অরবান ইউক্রেনকে আরও অর্থ এবং অস্ত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য পশ্চিমা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সংলাপ শুরুর কথাও বলেন তিনি।