রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
33 C
Dhaka
Homeআন্তর্জাতিকডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষীতে থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি’ স্বাক্ষর

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষীতে থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি’ স্বাক্ষর

প্রকাশ: অক্টোবর ২৬, ২০২৫ ১২:৪১

দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ মেটাতে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে। চুক্তির সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই “ঐতিহাসিক ও শান্তির নতুদিগন্ত” বলে আখ্যা দিয়েছেন।

গত জুলাইয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যিক চাপ ও কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। ওই সময় টানা পাঁচ দিনের সংঘর্ষে অন্তত ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে শান্তি আলোচনা শুরু হয়, যার ফলেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খবর বিবিসির।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে এক সপ্তাহের এশিয়া সফরে রয়েছেন। তার সফরসূচিতে রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ায় আসিয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

সফরের মূল আকর্ষণ হিসেবে ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যে কোনো জটিল ও কঠিন বিরোধই হোক না কেন, তা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা সম্ভব— এটাই আজ প্রমাণিত হলো।’

মানেত আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই এই শান্তি চুক্তি সম্ভব হয়েছে।’ তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকেও এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ও সহমর্মিতার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের প্রয়াত রানির মৃত্যুতে ট্রাম্পের শোকবার্তা দেশটির জনগণের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দ্রুত অস্ত্র প্রত্যাহার ও যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করব। যদি ঘোষণাপত্রটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে এটি অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়— এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এশিয়ায় শান্তি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার এটাই সময়। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির পক্ষে থাকবে।’

চুক্তির পর আন্তর্জাতিক মহল আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া এই শান্তির যাত্রা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর