মাইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আবারও নদীতে নেমেছেন জেলেরা। দীর্ঘ বিরতির পর তারা
ব্যস্ত সময় পার করছেন নদীতে। তবে প্রথম দিন আশানুরূপ পরিমাণে ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন অনেকে
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে শুরু হয়েছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের বেচাকেনা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঘাটে আবারও কেনাবেচার উৎসব জমে উঠেছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও আড়তদারদের মাঝে।
জেলে শুক্কুর আলী ও আব্দুর রহমান জানান, সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে রাতে নদীতে নেমেছেন তারা। তবে পদ্মা-মেঘনায় এখনও আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে তারা ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশ, আইড়সহ অন্যান্য মাছ ধরছেন। জেলেদের আশা, কয়েক দিনের মধ্যেই ইলিশের জালে ধরা পড়ার পরিমাণ বাড়বে।
ক্রেতা ইব্রাহিম বলেন, চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়েছে। তাই কিনতে এসেছি, কিন্তু দাম অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আড়তে বেশির ভাগ ইলিশ পুরোনো বা সংরক্ষিত। তাই কিনতে ইচ্ছা করছে না।
ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন ও নাহিদ হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় বড় স্টেশন মাছঘাটেও সব ধরনের মাছ বিক্রি বন্ধ ছিল। এখন আবার ইলিশসহ সব মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে আমরা খুশি। প্রথম দিনে ঘাটে তেমন মাছ আসেনি, তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। দক্ষিণাঞ্চল থেকে এখনও খুব কম ইলিশ আসছে। চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ একসাথে বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।


