রোববার (১৯ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অগ্নি নির্বাপণ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই আজম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপদেষ্টা জানান, নবগঠিত এই কমিটিকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘসময় আলোচনা হয়েছে এবং এই কমিটি শুধু আগুন নয়, ভবিষ্যতে অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট দেবে।
সম্প্রতি সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত এবং গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, সেই ঘটনাটিও এখানে উল্লেখ হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা থাকলেও কেন তা কার্যকর নেই, সে বিষয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের ঘটনায় কাদের গাফিলতি ছিল, তা জানার জন্য পূর্বের কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতার কোনো শঙ্কা রয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
বিমানবন্দরের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের বিলম্ব এবং অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা স্বীকার করেন যে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ফায়ার সিস্টেমটি তাদের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না, যে কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তিনি প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, কমিটি যদি সুপারিশ করে, তবে দেশের বাইরে থেকে প্রযুক্তি আনার বিষয়ে সরকারের চিন্তা রয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য বিমানবন্দর অথরিটি ইতোমধ্যে একটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলেও তিনি জানান।


