রাতে ঘুম ভাল না হলে পরের দিনটাই মাটি। তাই গভীর ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন। রাতে জানলার পর্দা সরিয়ে অনেকেই ঘুমোন। ঘরের আলো নেভানো। বাইরে থেকে হালকা আলো ঘর মায়াবী করে তোলে। ঘুমোতেও সুবিধা হয়। তবে এই অভ্যাসে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে। নেপথ্য কারণ জানিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা।
সম্প্রতি, ইংল্যান্ডের প্রেক্ষাপটে ঘুম সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, জানলার পর্দা না টেনে রাতে ঘুমোলে সময়ের সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এই গবেষণায় ঘুমের সঙ্গে অন্ধকারের যোগসূত্রকেও ব্যখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক আলোর উপর মানুশের স্লিপ-ওয়েক সাইক্ল নির্ভর করে। অর্থাৎ সূর্যাস্তের পরে আলো কমে আসে, ফলে ঘুম পায়। আবার সকালে সূর্যালোকে ঘুম ভাঙে। কিন্তু রাতে ঘুমের সময়ে কৃত্রিম আলো দেহের উপরে পড়লে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। শরীরের অভ্যন্তরীণ ‘ঘড়ি’র কাজে বিঘ্ন ঘটলে রক্ত শর্করা, রক্ত চাপ, ভিটামিন সহ একাধিক বিষয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।
‘মেড আর্কাইভ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক যৌথ ভাবে এই গবেষণাটি করেছেন। গবেষকেরা ৮৮ হাজার ৯০৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেই ডিজিটাল সেন্সর ব্যবহার করেছিলেন। যাঁদের ক্ষেত্রে রাতে দেহে আলো পড়ে, বাকিদের তুলনায় তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজ়ি়জের ঝুঁকি বেড়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতির হার পুরুষদের তুলনায় বেশি।