পুরুষদের পেলভিক ব্যথা অর্থাৎ পেটের নিচে, কুঁচকি বা যৌনাঙ্গের আশপাশে অনুভূত ব্যথা অনেক সময় সাধারণ কারণেও হতে পারে। তবে কখনও কখনও এটি ভেতরে লুকিয়ে থাকা গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। তাই সময়মতো কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ইঙ্গিত দেয়। তাই সময়মতো কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
কেন হয় এই ব্যথা
চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ (যেমন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, প্রোস্টেট ইনফেকশন বা যৌনবাহিত রোগ), কিডনি বা ব্লাডার স্টোন, হার্নিয়া, এমনকি নার্ভের সমস্যা থেকেও পেলভিক ব্যথা হতে পারে।
যখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি
যদি হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হয়, এর সঙ্গে জ্বর, বমি, প্রস্রাবে জ্বালা বা রক্ত দেখা যায়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজে থেকে ওষুধ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
যেভাবে রোগ শনাক্ত হয়
- রোগ নির্ণয়ে সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা, প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা, এবং প্রয়োজনে সোনোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং টেস্ট করা হয়।
- ঘরোয়া উপায় ও প্রাথমিক করণীয়
- পেটের নিচে হালকা গরম সেঁক দিলে আরাম মিলতে পারে
- প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো হালকা ব্যথানাশক ওষুধ সাময়িকভাবে কাজে দেয়
- তবে দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে কারণের উপর
- অ্যান্টিবায়োটিক: ইনফেকশন থাকলে
- আলফা-ব্লকার ওষুধ: প্রস্টেট বড় হলে বা প্রস্রাব আটকে গেলে
- শক্তিশালী ব্যথানাশক বা নার্ভ ব্লক থেরাপি: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ক্ষেত্রে
- অস্ত্রোপচার: কিডনি বা ব্লাডার স্টোন, হার্নিয়া, ইউরেথ্রা ব্লক ইত্যাদি সমস্যায়
- বিশেষ থেরাপি ও জীবনধারায় পরিবর্তন
পেলভিক ফ্লোর ফিজিওথেরাপি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় উপকার দিতে পারে। এছাড়া—
- দীর্ঘক্ষণ বসে না থাকা
- পর্যাপ্ত পানি পান করা
- নিরাপদ যৌন সম্পর্ক বজায় রাখা
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এসব অভ্যাস ব্যথা প্রতিরোধে সহায়ক।
- যখন দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
- ব্যথা হঠাৎ বেড়ে গেলে
- জ্বর বা বমি হলে
- প্রস্রাব আটকে গেলে
- প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত দেখা দিলে
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের পেলভিক ব্যথা অনেক সময়ই ছোটখাটো কারণে হয়, তবে অবহেলা করলে তা জটিল আকার নিতে পারে। তাই ব্যথা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

 
                                    