আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমাদের প্রচেষ্টা অবশেষে সাফল্যর মুখ দেখেছে। আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে বন্দি অবশিষ্ট ২৪ জনকে অচিরেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
ধন্যবাদ, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।”
এর আগে প্রাথমিকভাবে বন্দি ১৮৮ জনের সবাইকে গত বছর সেপ্টেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি অনুরোধের কারণে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রথম দফায় আটক ৫৭ জনের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর ও একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। পরে গত বছরের ২৮ আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বাংলাদেশিদের সাজা মওকুফের অনুরোধ জানান। এতে সাড়া দেয় আমিরাত সরকার। পরে কারামুক্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেন প্রবাসীরা।
দেশে ফিরে আসা কর্মীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কাজ করছে। ইতোমধ্যে ১৮৬ জন কর্মীকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক প্রবাসীদের মধ্য থেকে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এসেছেন।


