বিপিএলের চলতি আসরে টানা জিতে চলছিল খুলনা টাইগার্স। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও এনামুল হক বিজয়ের দল প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। তবে তাদের মুখের সামনে থেকে সেই খাবার কেড়ে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক। শেষ মুহূর্তে দুজনের রোমাঞ্চকর ব্যাটিংয়ে খুলনাকে ৫ উইকেটে হারাল বরিশাল। চলতি বিপিএলে যা খুলনার প্রথম হার।
চলতি বিপিএলে আজই শেষবারের মতো বিপিএলের আয়োজন করেছে সিলেট। সিলেট থেকে বিদায়ী দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বরিশাল ও খুলনা। আগে ব্যাট করে খুলনা ৮ উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে। ২ বল হাতে রেখে বরিশাল সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা শোয়েব মালিক ও মিরাজ অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ৪১ (২৫ বল) ও বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মিরাজ করেন ৩১ রান (১৫ বল)। ষষ্ঠ ম্যাচে এটি তামিম ইকবালদের তৃতীয় জয়।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল বিজয় ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২ রান করেন তিনি।
এরপর তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন। করতে পারেননি দুই রানের বেশি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। স্ট্রোক্সের ফোয়ারা ছুটিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন। তবে শোয়েব মালিকের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দলীয় ৬১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন নামের পাশে রান যোগ করার আগেই সজাঘরে ফেরেন। দ্রুত দুই উইকেট খুইয়ে চরম বিপাকে খুলনা টাইগার্স। দুর্দান্ত তাইজুল নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১৯ বল খেলা জয় এগিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। ব্যক্তিগত ১৩ রানে জয় যখন সাজঘরের পথ ধরেন তখন ৫ উইকেটে খুলনার স্কোরবোর্ডে ৭৩ রান।
তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন দাসুন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে শানাকা হয়েছেন ক্লিন বোল্ড। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুল ইসলামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান। ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্সকে এরপর ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ জুটি।
এই দুই জনের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। আশরাফ ৩৮ রানে শেষ পর্যন্ত অপারিজত থাকেন। বরিশালের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শোইয়েব মালিক ও তাইজুল ইসলাম।