যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিলিস্তিন সমর্থকদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থিদের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ বিক্ষোভ চলছে। হোয়াইট হাউস বারবার সতর্ক করে বলছে, বিক্ষোভ যেন শান্তিপূর্ণ হয়। ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পাল্টা এ বিক্ষোভের আয়োজন করে ইসরায়েলি আমেরিকান কাউন্সিল (আইএসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নিউজকে বলেন, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভের অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি পুলিশের দমনপীড়ন ও গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে।
এ পরিস্থিতিতে গাজায় দ্রুতই যুদ্ধবিরতি চাইছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সোমবার তিনি সৌদি আরবে পৌঁছান। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রিয়াদে সৌদির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে কাতার, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন।
অন্যদিকে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসরে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় প্রস্তাবের জবাব দেবে এ প্রতিনিধি দল। এবারই প্রথম ইসরায়েল স্থায়ীভাবে গাজায় ‘যুদ্ধের অবসান’ নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে।
গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। রোববার ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা শিগগির আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখোমুখি হতে পারেন।
সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন করে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ ২৭ জন নিহত হয়েছেন।