এর আগে আজ দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এই মেয়াদে সরকার গঠনের পর কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক সফর। এ সময় উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষপর্যায়ে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেই সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূচি অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা একই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখার ও সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দুদেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নিবিড় ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক।