শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভুটানের সামসি থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৪। এতে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভুটানে উৎপন্ন এই ভূমিকম্পে কেঁপেছে ভারতের সিকিম ও এর আশপাশের অঞ্চলও। সেখানে তাৎক্ষণিক কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
এর আগে গত ২ জুন ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করে মিয়ানমারে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও। ঢাকা থেকে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৪২ কিলোমিটার দূরে। ৫৯ সেকেন্ড এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত ২৯ মে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪। ঢাকার আগারগাঁও ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র থেকে এর উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩৯ কিলোমিটার।
গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
এর ৮ দিন আগে ২০ এপ্রিল মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় চট্টগ্রামে। ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া।