শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কামাল নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।শনিবার (২৩ নভেম্বর) নগরীর দামপাড়ায় সিএমপির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রইছ উদ্দিন।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তৌহিদকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৪ আগস্ট চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন তৌহিদ। ওইদিন একাই ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তৌহিদ। তার ব্যবহৃত ওই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার তৌহিদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন পেশাদার সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান বলে জানা গেছে এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ করছি।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত তৌহিদুল ইসলাম জানান, চান্দগাও এলাকার সাবেক সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরালের নির্দেশে ও টাকার বিনিময়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষণ করেছেন।