রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন তারা।টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপঅধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পাঁচ নারী, ১০ শিশু ও ২১ পুরুষ রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছিদ্দিক বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এ ছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটি রোহিঙ্গাবোঝাই বোট (নৌকা) সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।’
চার দিন সাগরে ভাসমান থাকা মো. আলম (৩০) নামে একজন বলেন,
মিয়ানমারের আকিয়াবের পূর্বে নাঁশং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ আরকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের নৌকা নিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি।
একই এলাকার রোহিঙ্গা আবু তাহের বলেন,
আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম আছে। সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। ‘মগ বাগির’ দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে এসেছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সাগরপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।’