মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএমএসএফ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি জাকির হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য তারিক লিটু। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা দেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এর নেপথ্যের অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ—রফিকুল ইসলাম রনি, মোস্তক খান, সৈয়দ খাইরুল আলম, রিয়াজুল হাসান অভি, মো. আল ইমরান, প্রশান্ত কুমার দাশ, সেলিম নেয়াজী, জাকিয়া সুলতানা, মরিয়াম আক্তার মারিয়া, কিমল সরকার ও সাইফুল ইসলাম আজম ইকবাল।
ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিএমএসএফ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, “দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তুহিন হত্যাকাণ্ড এর জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং স্পষ্টভাবে বলতে চাই—যত বড় প্রভাবশালীই হোক, সাংবাদিক হত্যার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। সাংবাদিক নির্যাতন, মামলা-হামলা বন্ধ করতে হবে এবং সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করার সমান। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আমরা সারাদেশে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
একই দিন সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বিএমএসএফ-এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ জানান এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।