আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, এটা একটা আকস্মিক বিষয়। এ সমস্যা সাময়িক। শীতে এমনিতেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য। তিনি গ্রাহকদের একটু ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন।
রান্নায় গ্যাসের সমস্যা সমাধানে বিকল্প হিসেবে এলপিজির ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ রান্নায় এলপিজি ব্যবহার করে। শুধু ঢাকা ও আশপাশে, চট্টগ্রাম, সিলেটে কিছু গ্রাহক প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে। এখন অনেকেই গ্যাস না পেলেও মাস শেষে বিল দিতে হচ্ছে। তাই আবাসিক গ্রাহকদের মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার বসানো হয়েছে। আগামী তিন বছরে সব গ্রাহকের কাছে মিটার পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মিটার বসানোর পর যাঁরা যতটুকু গ্যাস পাবেন, ততটুকু বিল দেবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্যাস মিটারের জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল, সেটার জোগান দিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে সেটার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাপানের জেটি ব্যাংক এখানে অর্থায়ন করছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় সাড়ে ৪ লাখ, সিলেটে ৫০ হাজার, চট্টগ্রামে আড়াই লাখ মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহককে ধৈর্য ধরতে হবে। এলপিজির পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে। গাড়িতে ও এলপিজি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। সবাই ধৈর্য ধরেন, অচিরেই বাসাবাড়ির গ্যাস ঠিক করা হবে। সব গ্রাহক যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পায়, সেটা নিশ্চিত করতেই সরকার কাজ করছে।