বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এদিন বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম বলেন, আলোচনায় ব্রাজিলের পক্ষ থেকে অ্যানিমেল প্রোটিনটা (প্রাণিজ আমিষ) গুরুত্বে ছিল। বিশেষ করে ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে মাংস রপ্তানি করে। সে বিষয়ে তারা কথা বলেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আগামী কোরবানি সামনে রেখে তাদের ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তাই হয়, তাহলে কোরবানির সময় গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না, আমরা সম্ভাব্যতাগুলো দেখব। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, ‘আমাদের এ যৌথ আলোচনা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। জুলাইয়ে তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আশা করি, এর মধ্যে আমরা কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারব।’
ব্রাজিল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে জোর দিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাইছি যে শুধু বাংলাদেশের বাজার নয়, তারা যাতে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াকরণ করার পর গোটা এশিয়াতে রপ্তানি করে, সেটির বিষয়ে তাদের আমরা উৎসাহিত করেছি।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ব্রাজিলের বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু ওই দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষা দেয়। তৈরি পোশাকশিল্প তাদের একটি সুরক্ষিত বাজার। শুধু চীন ও বাংলাদেশ থেকে তারা আমদানি করে। বাকিটা তারা স্থানীয়ভাবে করার চেষ্টা করছে। তারা কথা দিয়েছে এটি শুধু ব্রাজিল নয় বরং গোটা অঞ্চলের জন্য হবে। সে জন্য এমনভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে, যাতে শুধু ব্রাজিল নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও রপ্তানিতে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।