আজ শনিবার দুপুরে মিরপুর ১৫ তে বিজয় রাকিন সিটির সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। বিগত ০৮/০৬/২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির ১৬.০৩ একর জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তির মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হলেও হস্তান্তরের শর্ত অনুযায়ী সুবিধাদি অনেকাংশের বাস্তবায়ন আজো আলোর মুখ দেখেনি। বারংবার তাগাদা দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধানে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে জানান মানববন্ধনে আসা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এছাড়াও ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রয়ের শতকোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনের সভাপতি মোঃ মোর্শেদুল আলম জানান অতি নিম্ন মানের কাজের কারনে আমাদের আবাসস্থল আজ বিভীষিকাময় হয়ে গেছে। সিসিটিভি, লিফট, সিড়ি, মসজিদ, স্কুল, ফায়ার সিস্টেম, সাব-স্টেশন, জেনারেটর স্থাপন, ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশনের বাস্তবায়ন উদ্যোগ রাকিন এখনো গ্রহণ করেনি ও ফ্ল্যাট মালিকদের সোসাইটির চক্রাকার তহবিলের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রাকিনের তহবিলে গচ্ছিত ১০৬৭ টি ফ্লাটের অনুকূলে ৫,৩৩,০০,০০০/ পাঁচ কোটি তেত্রিশ লাখ টাকা সোসাইটি তহবিলে আজো জমা দেয়নি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রাকিন।অপরদিকে চুক্তি অনুসারে বিলম্বে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রাকিনের নিকট ১০০ কোটি টাকা প্রাপ্য হয়, তা সমিতিকে পরিশোধের কোন উদ্যোগ রাকিন এখনো গ্রহণ করেনি।
তিনি আরো বলেন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্হা অত্যন্ত নিম্ন মানের। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থায় ইহা কোন কাজেই আসেনা, এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নির্মান প্রতিষ্ঠান রাকিন আমাদের যে সকল মহান উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কোনটাই বাস্তবায়নে নেই পদক্ষেপ। অতি দ্রুত চুক্তিপত্রের শর্ত সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করতে কতৃপক্ষের বাস্তবায়ন চেয়েছেন তারা।
দীর্ঘ ১৪ বছর নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী বসবাসরত পরিবার ছাড়াও বিজয় রাকিন সিটি অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, সাহীদ হোসেন, সাবেক অতিরক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী খান, মোঃ বেলায়েত হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন নেসামেরি, রিপাসহ হাজারো ভুক্তভোগী বাসিন্দা অংশ নেয় এ মানববন্ধনে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি কোন কর্মকর্তাকে।