আগামীকাল শুক্রবারের পর তার গতিপথ চূড়ান্ত করতে পারে রেমাল। উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার, যা ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইসিএমডব্লিউএফ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছে ২৬ থেকে ২৭ মে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আগামীকাল শুক্র বা শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আরও বলা হয়েছে, শনিবার থেকে দেশের প্রায় সব জায়গায় কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এই অঞ্চলের দিকে। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে।
অপরদিকে ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছে, শনিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে। লঘুচাপটির সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটির গতিপথ হতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে। আবার বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এটি আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আসতে আঘাত করবে আগামী ২৬ মের দিকে।