বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশনে গেলে আড়তদাররা ইলিশের দাম কমার বিষয়টি জানিয়েছে।
আড়তদার দেলোয়ার, বিপ্লব, সম্রাট, বাবুল বলছেন- গেল ১০-১৫ দিন পূর্বেও ৮-১০ মণ ইলিশ আসলেও এখন দিনে ৫০ মণেরও বেশি ইলিশ ঘাটে আসছে। এর মধ্যে ২০ মণ ইলিশ নোয়াখালী হাতিয়ার মেঘনা নদীর হলেও বাকি ৩০ মণই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ। সামনে বৃষ্টি হলে এবং পানি আরও বাড়লে ইলিশ আরও বেশি ধরা পড়বে।
প্রতি কেজি ইলিশে ২-৩শ টাকা কমে এখন ৫শ হতে ৬শ গ্রামের ১৩শ টাকা, ৭-৮শ গ্রামের ইলিশ ১৫শ টাকা, ৯শ গ্রামের ইলিশ ১৭০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিস ২৩শ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৮শ হতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে প্রতি কেজি ইলিশের ওজনে দাম ২-৩শ টাকা কম।
জেলে কাদির বলেন, গেল কয়েক দিনের তুলনায় এখন নদীতে ইলিশ বেশি পাচ্ছি। সামনে হয়তো আরও বেশি পাব।
ক্রেতারা বলছেন, দাম খুব একটা কমেছে তা বলা যাবে না। তবে বাইরের ইলিশের তুলনায় ঘাটে সদরের পদ্মা মেঘনার স্থানীয় ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে এটাই আশার বাণী।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি শবে বরাত সরকার বলেন, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ এখন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ ১ লাখ টাকার মতো। স্থানীয় ইলিশ বাড়ায় এখন ময়মনসিংহ, ঢাকা, জামালপুর, সিলেট, রংপুর, মৌলভীবাজারে চাঁদপুরের ইলিশ বেশি যাচ্ছে। সামনে কিছুদিন পর ‘জো’ অর্থাৎ ইলিশের মৌসুম রয়েছে। তখন স্থানীয় ইলিশ আরও বাড়লে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার টাকাতেই কিনতে পাওয়া যাবে।