শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
20 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশমঙ্গলবারও থাকতে পারে রিমালের প্রভাব

মঙ্গলবারও থাকতে পারে রিমালের প্রভাব

আপডেট: মে ২৭, ২০২৪ ৯:১৭
প্রকাশ: মে ২৭, ২০২৪ ৯:১৬

ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এরপর এটি গত কয়েক ঘণ্টায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর বিস্তার লাভ করেছে।

সোমবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্রভাগ ঢাকা অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে রাজধানীতে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব আগামীকাল মঙ্গলবারও (২৮ মে) থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্থল নিম্নচাপ স্থায়ী কিছু নয়। এটার নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্র বলতে তেমন কিছু নেই। তবে সাগরে নিম্নচাপ হলে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্র থাকে। রিমাল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, যশোর থেকে মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা হয়ে এটি ভারতের দিকে গিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতেও বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবারও কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে উপকূলের ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকূল ও আশপাশের ১৯ জেলা। এগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর