বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ আন্দোলন চলাকালে ব্যাপক অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার কারণে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শোক জ্ঞাপন ও আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশের সব মসজিদে সরকারের পক্ষ থেকে বাদ জুমা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী রোববার দেশের সব মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় সুবিধামতো সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না। সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন,
যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছিল, সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছিল মানুষদের। আধুনিক প্রযুক্তির এ পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না। দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল এ পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না। এদেশের মানুষ এটা করতে পারে। কিন্তু সেই কাজই করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী থেকে দেশবাসীদের বলেছিলাম একটু ধর্য্য ধরতে হবে, আদালত যখন নিয়েছেন তখন তো একটু ধর্য্য ধরতে হবে। কোটা সংস্কার বাতিল চেয়ে করা মামলাটি তো সরকার করেছে। আপিল তো সরকার করেছে, কাজেই তাদের ধর্য্য ধরতে হবে। তাদের যেটা প্রত্যাশা, সেটাই পূরণ করা হবে এবং হতাশ হতে হবে না। আমি এ আশ্বাস দিয়ে তাদের বলেছিলাম আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু তারা সেটা করল না।
তিনি বলেন,
যে দাবি তারা (শিক্ষার্থী) করেছিল, তার চেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে। আদালত দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও এখনও তারা থামেনি, কেন থামেনি? সেটা দেশবাসীর কাছে আমি বিচার চাই। প্রথমে আসল এক দফা, তারপরে আসল ৪ দফা, ৬দফা আবার ৮ দফা, আবারও ৪ দফা আসল। আবার ৪ দফায় হবে না ৮ দফা-এইভাবে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো এবং সেই সাথে সাথে ধ্বংসযজ্ঞ। ধ্বংসযজ্ঞটার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ মেট্রোরেলে কী আমি চড়ব, শুধু কী সরকারি লোকজন চড়বে, শুধু কী মন্ত্রীরা চড়বে, না সাধারণ জনগণ চড়বে সেটা আমার প্রশ্ন? এর উপকারিতা কারা পাচ্ছে, এ দেশের মানুষ, সাধারণ জনগণ পাচ্ছে। তাহলে এর উপর এতো ক্ষোভ কেন? যানজট থেকে রেহাই পেতে যে কষ্টটা আমি লাঘব করতে চেয়েছি সাধারণ জনগণের, সেই কষ্ট আবার যারা সৃষ্টি করল, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে, দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এর বিচার দেশবাসীকে করতে হবে। আমি তাদের কাছেই বিচার চাই।’


