শনিবার (২৫ অক্টোবর) চারদিনের খেলার এই টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে মাঠে নেমেছে আটটি দল। উদ্বোধনী দিনে ব্যাটারদের ব্যাট থেকে দেখা গেছে রানের ফুলঝুরি। বোলারদের হতাশ করে দাপুটে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি এসেছে চারটি।
চট্টগ্রাম-রাজশাহী বিভাগের ম্যাচ
প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে চট্টগ্রামের হয়ে খেলা জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন জয়। তার সঙ্গে নামা সাদিকুর রহমান কিংবা তিন আর চার নম্বরে নামা মুমিনুল হক-শাহাোত হোসেন দিপুরা আশাহত করলেও জয় ছিলেন বিজয়ের নেশায়। তিনি মাঠ ছাড়েন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে। শেষ পর্যন্ত ১৬৫ বলে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন জয়। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫ চার আর ২ ছক্কায়।
জয়কে সঙ্গ দিতে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও। এই দুজন মিলে গড়েন ২২১ রানের জুটি। জয়ের পরপরই সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌছান ইয়াসির। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে তিনি ফেলেন ১৩৮ বলে ১২৯ রান করে। ১০ চার আর ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
এই দুজনের বাইরে চট্টগ্রামের হয়ে রান পেয়েছেন কেবল আর একজন ব্যাটার, ইরফান শুক্কুর। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির পথে হাটা শুক্কুর ফিরেছেন ৭২ রান করে। সবমিলিয়ে ৮২.৩ ওভারে সবগুলো ৪০১ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।
জবাব দিতে নেমে অবশ্য খেই হারিয়েছে রাজশাহী। স্কোরবোর্ডে মাত্র এক রান যোগ করতেই দুই উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। দুই উইকেটই পেয়েছেন স্পিনার হাসান মুরাদ।
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট গেছে সুজন হাওলাদার আর মেহরাব হোসেনের ঝুলিতে।
রংপুর-ঢাকা বিভাগের ম্যাচ
সিলেটের একাডেমি মাঠে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা বিভাগ আর রংপুর বিভাগ। দিনের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি এসেছে এই ম্যাচে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। ঢাকা বিভাগের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স উপহার দেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ১৬১ বলে খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস।
মার্শাল বাদে বাকিদের মধ্যে কেবল তিনজন দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। এর মধ্যে জিসান আলম হাফসেঞ্চুরি করলেও বাকি দুজন ২০-এর ঘরও ছুঁতে পারেননি। ১০৮ বলে জিসান করেন ৭১ রান। আশিকুর রহমান শিবলির ব্যাট থেকে এসেছে ১২ আর রিপন মন্ডলের ব্যাট থেকে ১৩ রান।
সবমিলিয়ে ৬৩.৩ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে রংপুর।
রংপুরের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন স্পিনার আবু হাশিম। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির হোসেন আর মেহেদি হাসান।
ময়মনসিংহ-সিলেট বিভাগের ম্যাচ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নবাগত ময়মনসিংহের আশার প্রদীপ হয়ে দেখা দিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। স্বাগতিক সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ব্যাট আলো ছড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনিও। ২০৮ বলে ১০১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার ব্যাটে চড়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে ময়মনসিংহ।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পেয়েছেন জাতীয় দলের পেসার খালেদ আহমেদ। ২টি উইকেট গেছে আসাদুল্লাহ আল গালিবের ঝুলিতে।
খুলনা-বরিশাল বিভাগের ম্যাচ
দিনের আরেক খেলায় খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে খুলনা বিভাগ আর বরিশাল বিভাগ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এককভাবে কোনো বড় স্কোর না হলেও দলীয় প্রচেষ্টায় ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে খুলনা। দলের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক জিয়াউর রহমান (৯১ বলে ৬৯) আর ৯১ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত আছেন শেখ পারভেজ জীবন।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন পেসার রুয়েল মিয়া আর স্পিনার মঈন খান।


