শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তিন লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত ১০ আগস্ট বলা হয়, অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তারও আগে ৮ আগস্ট এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহক। ওই দিন বলা হয়েছিল, শুধু একদিনের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।