মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন অনুযায়ী সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার চেয়েছেন উপদেষ্টা।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলেও জানান।
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।